চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা কতটা সম্ভব : আপনি যদি আপনার প্রতি মাসের খরচ যোগানোর চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চান? ভাল বেতনে চাকরি পাওয়ার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কম বেতনের চাকরি ছাড়তেও ভয় পাচ্ছেন।
তো আপনি যদি আপনার চাকরির জীবন বৃত্তান্তে, অভিজ্ঞতার অভাব বোধ করছেন। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে, চাকরির জীবন বৃত্তান্তে অভিজ্ঞতার ঘর পূরণ করবেন।
এছাড়া, আপনি যদি ৯ টা টু ৫ টা’র চাকরি নির্যাতার বিপরীতে যে, কাজে সব থেকে বেশি উৎসাহ পান সেই কাজ করতে আগ্রহী থাকেন।
তাহলে আপনার জন্য একটি সুখবর রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনার প্রচণ্ড ভাগ্যের জোর অপ্রয়োজনে এবং আপনাকে এমন কোন খারাপ কাজ করতে হচ্ছে না। যা আপনাকে কোন বিপদের মুখে ফেলে দেবে।
তো বন্ধুরা আর সেই সুখবরটি হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং। আপনার অন্যান্য বড় এবং প্রয়োজনীয় কাজের পাশাপাশি ছোট পরিসর এ ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম।
যাদের ফ্রিল্যান্সিং করে, টাকা আয়ের জন্য অনেক পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রয়োজন হয় কিন্তু সুখবর খবর হচ্ছে, আপনি একা না! বর্তমানে বাংলাদেশ এর প্রায় অধিকাংশ তরুন- তরুণীরা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা রোজগার করছে।
তো এখন আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে যে, কিভাবে আপনার চাকরির পাশাপাশি যিনি টাকা প্রদান করবে। তার বকা না খেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে হাই করা যাবে কি? হ্যাঁ বন্ধুরা অবশ্যই।
এখানে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। শুধুমাত্র আপনাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের এই পোস্টে যে বিষয়গুলো বলব যা আপনাকে, মানিব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।
এছাড়া, আপনার অফিসের বস কে খুশি রেখে, আপনার ক্যারিয়ারের উন্নতির কৌশল অবলম্বন করতে শেখাবে। তাই আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? সে বিষয়ে জানতে তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।
আর অনেকের প্রশ্ন রয়েছে, চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা কতটা সম্ভব। সে বিষয়ে আপনারা এই পোস্ট পড়ে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
তো চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেই।
আপনার অফিস চুক্তিপত্র দেখুন
আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? তাহলে সবার আগে আপনার কোম্পানির সঙ্গে হওয়ার চুক্তিপত্রটি ভালো করে দেখুন।
কারণ কিছু কিছু কোম্পানি অফিসের বাইরে অন্য কোন কাজ করা বা সে কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় অন্য কোন ব্যক্তির অধীনে, কাজ করার নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে। এবং সেভাবে তাদের চুক্তিপত্র সাজানো হয়।

তো আপনি যদি সে চুক্তিতে উল্লেখিত বিধিনিষেধ লংঘন করেন। কোম্পানি আপনাকে চাকরি চ্যুত করতে পারে। তো সবার আগে আপনি আপনার চুক্তিপত্রটি ভালোভাবে দেখে নিবেন।
তারপর, চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হবেন। এতে করে ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
সৎ থাকুন
আপনারা চিন্তা করতে পারেন যে, কোম্পানি বা কোম্পানির অন্য কোন কর্মকর্তার কাছ থেকে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়ে গোপন রাখতে পারবেন কিনা?
উত্তরে বলব – বর্তমান সময়ে. বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপকতা এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এমনকি অন্য কোন কর্মকর্তার পরিচয় এর ফলে আপনার কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে যেতেই পারে।
যা আপনার ভবিষ্যৎ এর ক্যারিয়ার খারাপ প্রভাব ফেলে দিতে পারে। আপনার যদি কোম্পানির নিয়মাবলীতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের পথে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়। তারপরও আপনাদের পরামর্শ থাকবে, সততা অবলম্বনের।
তো আপনি আপনার অফিসের বসের সাথে একটি মিটিং করুন এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের কারণে কোম্পানির কাজে ব্যাঘাত না ঘাটার আশ্বাস দিন।
এক্ষেত্রে আপনি চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে আপনার অফিস বসকে বলতে পারেন- আমার কোম্পানির কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট এর কাজ করার মাধ্যমে, আমি কিছু এক্সটা টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছি। এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আপনার অনুমতি এবং সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
আমি এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি পুরোপুরি আমার অবসর সময়ে করব। যাতে করে কোম্পানির কাজে ব্যাঘাত না হয়। এরকম ভাবে বলে আপনার অফিস বস কে কনভেন্স করতে পারলে, আপনি সৎ থেকে চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
কি ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করতে চান ?
চাকরির পাশাপাশি আপনি কি ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান সেটি আপনার অফিস বসকে জানান। সেক্ষেত্রে, অতিরিক্ত কোন ব্যাখ্যা দেওয়ার কোন প্রয়োজন হবে না।
আপনার ক্লায়েন্ট এর নাম, কাজের উৎপাদন বা ফ্রিল্যান্সিং থেকে, আপনার ইনকামের পরিমাণ গোপন রাখবেন।
আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ এবং আপনার কোম্পানির কাজ যদি একই ধরনের হয়ে থাকে। কোম্পানির ব্যবসার সংক্রান্ত সকল কাজের প্রতি সম্মান রেখে।
এবং কোম্পানি এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ক্লায়েন্ট এর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে। কাজ করলে এবং আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে আপনার বসের কাছে জানালে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
কাজের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর উপকারিতার
আপনি যে সকল কাজ ফ্রিলেন্সার হিসেবে বেছে নিতে চান শুধুমাত্র সেই ব্যাপারে আপনার অফিস বস কে বলবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর বহুমুখী উপকারিতার কথা উপস্থাপন করবেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সম্ভাব্য আপনার ক্যারিয়ার উন্নতি সম্পর্কে বলবেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে আপনার বস আপনাকে সহ-কর্মকর্তা তথ্য প্রতিষ্ঠানটির উপকার হতে পারে। সে সম্পর্কে আলোচনা করবেন।
অনলাইনে তথা সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথা বিচরণের তুলনায় বা নাটক সিনেমা দেখে মূল্যবান অবসর সময় নষ্ট করার তুলনায়। প্রোডাক্টিভ কিছু করার চেষ্টা অবশ্যই আপনার সম্পর্কে আপনার বসকে ইম্প্রেশন উন্নতি করবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর জন্য আপনার বিভিন্ন প্রকার দক্ষতা বর্তমানে, আপনার এবং আপনার কোম্পানির জন্য কতটা উপকার হতে পারে। সেটি নিয়ে আপনার বসকে জানিয়ে দিবেন।
সম্পূর্ণ মনযোগ এর সহিত কাজ
স্বাভাবিকভাবে নতুন কোন কাজ যা পছন্দের, করার সময় আমরা যথেষ্ট উত্তেজনা হয় পরী। যার জন্য অনেক সময় অত্যাচার বসে আমরা আমাদের কাজটুকু কে সম্পন্ন মনোনিবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে যায় এবং আমাদেরকে মনোরাজ্য বিক্ষিপ্ত হয়।
ভালো কিছু পাওয়ার জন্য বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একদম স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে নতুন কাজের প্রতি আপনার অবাধ আকর্ষণ, আপনার অফিস বসের পক্ষ থেকে উৎসাহ থাকলেও আপনাকে আপনার কাজের শতভাগ বা সম্ভাব্য হলে আরো বেশি মাত্রায় মননিবেশ করতে হবে।
কোম্পানি অফিসার ক্ষেত্রে সব সময় হেরফের না করা, আপনার সহকর্মে সহিত গুরুত্বপূর্ণ আচরণ এবং কোম্পানির প্রতিটি কাজ যথাযথ ভাবে উদ্যোম এর সহিত অংশ গ্রহণ করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার সময় পুরোপুরি কাজে লাগান
তো আপনি যেহেতু চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার সময় পুরোপুরি কাজে লাগান। আপনি যে সময় ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন সেই পরটি সময় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
যার ফলে, অফিসে যাওয়ার সময় বাসে বা অফিসের চেয়ারে বসে, আপনার ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট গুলোর কথা চিন্তা করতে হবে না। যার ফলে আপনি চাকরির সময় চাকরি করতে পারবেন অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন।
তো আপনি যেহেতু চাকরি পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান? সে ক্ষেত্রে অবশ্যই, প্রতিদিন সকালে একটু দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে হবে, একটু বেশি সময় ধরে রাত জাগতে হবে।
আপনার অফিস ছুটির দিন বা আপনার অবসর সময় ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য সিলেক্ট করতে হবে।
আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি মিনিট প্রতিবার খুব যত্ন সহকারে নিজের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। নিজের ঘাড়ে সাধ্যাতিরিক্ত কাজ না নেওয়া।
যত্ন সহকারে পরিকল্পনা করা। সময় এর কাজ সময়ে শেষ করা। তো আপনি যদি এই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারেন।
তাহলে চাকরির পাশাপাশি সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে আলাদা ভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যা আপনার চাকরির থেকে অনেক বেশি পরিমাণে।
শেষ কথা-
তো বন্ধুরা আপনারা যারা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে, এক্সটা টাকা উপার্জন করতে চান? তারা নিজের কোম্পানির বসের সাথে ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিষয়ে শেয়ার করতে পারেন।
যার ফলে আপনি নিশ্চিন্তে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। এবং আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে ফেলতে পারবেন।
তখন আপনাকে কোন আলাদা করে কোম্পানি চাকরি করতে হবে না। আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে নিজেই বস নিজেই কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন সেখানে অর্ডার করার কোন লোক থাকবে না।
স্বাধীনভাবে যেকোনো সময় কাজ করার সুযোগ পাবেন।
তো শেষ পর্যন্ত আমাদের লেখা আর্টিকেলটি পরে, আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি, কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা কতটা সম্ভব সে বিষয়ে আপনারা পুরোপুরি জানতে পেরেছেন।
সেই লক্ষ্যে আজ আমাদের আর্টিকেলটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের সহজ ইনকাম ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।