বর্তমান সময়ে এই অনলাইন প্রযুক্তির যুগে অনলাইন পার্টটাইম জব করে, নিজের ঘরে বসেই ভাল টাকা উপার্জন করার অনেক মাধ্যম রয়েছে।

তো অনলাইনে এমন অনেক গুলো ইনকাম করার সেক্টর হয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করে, আপনার খুব সহজেই অনলাইন জব করতে পারবেন।

এছাড়া অনলাইনে এমন অনেক কাজ আছে। যেখানে আপনি এখন পার্ট টাইম জব হিসাবে শুরু করলে। ভবিষ্যতে সেটি ফুল টাইম হিসেবে পরিণত করতে পারবেন। যার ফলে আপনার ক্যারিয়ার সৃষ্টি করতে পারবেন।

আমি যদি নিজের কথা বলি তাহলে, অনলাইন সেক্টরে আমি কয়েক বছর আগে, কাজ শুরু করেছিলাম পার্ট টাইম জব হিসেবে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে অনলাইনের মাধ্যমে করা সেই, পার্ট টাইম অনলাইন জব অলটাইম কাজের হিসেবে পরিণত করেছি। তাই আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে একটা টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনার অনেক সুযোগ রয়েছে।

তাই আজ আমি আপনাদের এই আর্টিকেলে জানাতে যাচ্ছি, অনলাইন পার্টটাইম জব ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে।

অনলাইন পার্ট টাইম জব (ঘরে বসে আয়)

বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনলাইনে পার্ট টাইম জব খোঁজার চেষ্টা করছেন, এমন কাজ খোঁজেন যে ফাঁকা বা অবসর সময়ে ঘরে বসে আয় করা যাবে।

তাই আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে, এমন কয়েকটি সহজ অনলাইন পার্টটাইম জব এর সম্পর্কে বলব। যেগুলো আপনারা চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন।

এছাড়া এই মাধ্যম গুলো অনুসরণ করে, আপনারা দ্রুত অনলাইন উপার্জন শুরু করতে পারবেন।

তো আমি এই আর্টিকেলে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো শেয়ার করেছি।

তো আমাদের এই ওয়েবসাইটে, ব্লগিং করে অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি। তাই আজ আমি এখন কিছু অনলাইন কাজের বিষয় বলব। যেগুলো আপনারা পার্টটাইম জব হিসেবে করতে পারবেন।

আর আপনি চাইলে ফুল টাইম হিসেবেও এই কাজ গুলো করতে পারবেন।

তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, অনলাইন পার্টটাইম জব করার সেক্টর গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ব্লগিং

আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি বা চাকরি করার পাশাপাশি একটি পার্ট টাইম জব খোঁজেন এবং অনেক টাকা উপার্জন করতে চান? সেই ক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং কাজ শুরু করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে হাজার হাজার, স্টুডেন্ট, হাউস ওয়াইফ, চাকরিজীবী ব্যক্তিরা পার্ট টাইম জব হিসেবে ব্লগিং কে বেছে নিচ্ছে। তারা প্রতি মাসে ব্লগিং করে, প্রায় ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করছে।

আবার কিছু সংখ্যক মানুষ ব্লগিং করে, প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করছে।

তো ব্লগিং এর বিষয়টি হচ্ছে নিজের একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা, ও দক্ষতা দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করা।

যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে অনেক লাভজনক হতে পারে।

এছাড়া আপনি যদি ব্লগিং করে, ইনকাম করতে চান? কিন্তু নিজে থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করার সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্যের ওয়েবসাইটে কাজ করতে চান?

সে ক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশে এমন অনেক ব্লগিং ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। যেগুলোতে ফ্রিতে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে, তাদের ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি অনুযায়ী আর্টিকেল পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো আর্টিকেল লেখা-লেখি করতে পছন্দ করলে, বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট জো-আইটি তে, অনলাইন পার্ট টাইম জব করার অফার করে।

তাই আপনি চাইলে সে ওয়েবসাইটে, একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করে সহজেই অনলাইন জব শুরু করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

যদি আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিজেকে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করতে চান? তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। কারণ মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার অনেক সুযোগ আছে।

বর্তমান সময়ে এফিআট মার্কেটিং করে বিভিন্ন মানুষ প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আসলে এটি হচ্ছে, এমন একটি সার্ভে যেখানে আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের এফিলেট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে, তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো প্রচার বা বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

সেজন্য আপনি যদি অনলাইনে পার্টটাইম জব খোঁজেন? তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন। কারণ এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুবিধা পাবেন।

মানে আপনি যখন ইচ্ছা তখন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

তো এফিলেট মার্কেটিং এ কিভাবে ইনকাম করবেন। সে বিষয়ে আপনার প্রশ্ন হতে পারে। সে প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে পারি। আপনারা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এছাড়া ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করতে পারেন।

যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটের কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে। তাদের প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ের বিপরীতে আপনি কোম্পানির তরফ থেকে ভালো পরিমানের কমিশন গ্রহণ করতে পারবেন।

আর সেজন্য আপনি অনলাইনে পার্ট টাইম জব হিসেবে এফিলেট মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন।

তো আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে জনপ্রিয় কয়েকটি এফলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানির নাম উল্লেখ করেছি যেমন-

• Amazon
• Flipkart
• Ebay

আপনারা উপরোক্ত মার্কেটিং কোম্পানির গুলোর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের বিভিন্ন পণ্য বা প্রোডাক্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার প্রচার করে বিক্রি করতে পারবেন এবং সেই ব্যক্তির পরে, আপনি ভালো পরিমাণের কমিশন গ্রহণ করতে পারবেন।

ফাইভার এ কাজ করুন

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে ফাইবার। এখানে আপনারা কাজ করে এবং সেবা বিক্রি করে প্রতিদিন ৫ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ও ভারতে অনেক বেশি পরিমাণের মানুষ ফাইবার ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে ইনকাম করছে।

এখানে আপনারা এক ধরনের কাজ নয়। আপনার দক্ষতা হিসেবে, বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। ভাইবার ওয়েবসাইটটে কোম্পানি এবং ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজে থাকেন।

তাই আপনি যদি অনলাইনে পার্ট টাইম জব খোঁজেন তাহলে ফাইবারে জয়েন হতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ক্লায়েন্টরা ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজে বিভিন্ন ধরনের কাজ দিতে পারে তো আপনি যদি আকর্ষণীয় লোগো ডিজাইন করতে পারেন বা গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন।

এছাড়া মার্কেটিং করতে পারেন। তাহলে আপনারা ফাইবার থেকে ভালো টাকা উপার্জন করার সুযোগ পাবেন। তো আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে না জানেন তবে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে একটি কোর্স করে নিবেন।

তাহলে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে, বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পেয়ে যাবেন এবং পার্ট টাইম জব শুরু করতে পারবেন। আর ভবিষ্যতে আপনি যদি ফাইবারে ভালোভাবে, কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সেক্ষেত্রে পার্মানেন্ট ইনকাম করার সুবিধা পেয়ে যাবেন। এতে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

তো আমি আপনার সুবিধার জন্য ফাইবারে যে কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে-

• আর্টিকেল রাইটিং
• কোডিং
• ওয়েবসাইট ডিজাইন
• এসইও
• ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি

তো আপনারা এই ক্যাটাগরির কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফাইবারে জয়েন হয়ে. পার্ট টাইম কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

ডাটা এন্টির কাজ করুন

আপনার যদি কম্পিউটারে টাইটিং স্পিড ভাল থাকে তাহালে পার্ট-টাইম জব হিসাবে ডাটা এন্টির কাজ আপনার জন্য লাভজনক হবে। আপনি ইন্টারনেটে অনেক ধরনের ডাটা এন্টির কাজ পেয়ে যাবেন।

ডাটা এন্ট্রি কি? Data Entry কত প্রকার এবং কিভাবে শুরু করবেন?

তাছাড়া, Data entry কাজ করার জন্য আপনাকে কাজ খুঁজতে হবে। তবে, ইন্টারনেটে Data entry job বলে সার্চ দিলে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। তবে, আপনি উপরের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো থেকেও ডাটা এন্টির কাজ পাবেন।

ক্যাপচা এন্ট্রি কাজ করুন

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই ক্যাপচা মানে কি সেটা জানি। আসলে এটি হচ্ছে এমন একটি ছবির মিশ্রণ যা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় দেখানো হয়।

উক্ত ক্যাপচা কোড গুলো অপ্রয়োজনীয় বোট একাউন্ট তৈরি করা থেকে বাধা দেওয়ার জন্য। ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ আপনাকে বিভিন্ন ছবিগুলোর সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে। এছাড়া এলোমেলো সংখ্যা গুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে।

তো আপনারা যদি অনলাইনে পার্টটাইম জব খুঁজেন? তাহলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ক্যাপচা এন্ট্রি শুরু করতে পারবেন।

আর আপনারা এ ধরনের ক্যাপচা এন্ট্রি কোম্পানিগুলোতে, প্রতি ১০০০ হাজার ক্যাপচা সঠিক ভাবে পূরণ করে, প্রতিদিন দুই থেকে তিন ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

তো ক্যাপচা এন্ট্রি করে কাজ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই টাইপিং এ দক্ষ হতে হবে। আপনি যত বেশি ভালো টাইপিং করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

তো আমি আপনার সুবিধার জন্য এখানে ক্যাপচা এন্ট্রি করার কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর নাম জানিয়ে দিচ্ছি যেমন-

• Kolotibabalo.
• MegaTypers.
• 2Captcha.
• Captcha2Cash.
• ProTypers.
• Virtual Bee.
• Fast Typers.
• QlinkGroup.
• CaptchaTypers.

তো আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে ক্যাপচা এন্ট্রি করে আপনারা অনলাইন জব শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনার পকেট খরচ চালাতে পারবেন।

শেষ কথা-

তো আমাদের আজকের এই আলোচনাতে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হলো- অনলাইন পার্ট টাইম জব ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে।

তো আপনি যদি পার্ট টাইম জব করতে চান? তাহলে, যেকোনো একটি সেক্টর বেছে নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এতে করে আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করতে পারবেন।

আর আমাদের মাঝে এমন অনেকে রয়েছে। যারা উপরোক্ত সেক্টরে কাজ করে, নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছে আপনি চাইলেও পারবেন।